বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস: সুস্থ সমাজ গড়ার ফেরিওয়ালা

gtbnews
1. ৭ এপ্রিল, ২০২৩ / ১৬২ বার পঠিত

লাইফস্টাইল ডেস্ক : বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস আজ। ‘সুরক্ষিত বিশ্ব, নিশ্চিত স্বাস্থ্য’ প্রতিপাদ্যের আলোকে দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে দেশে। অনেকে নিজ উদ্যোগে দেশের স্বাস্থ্য সচেতনতায় কাজ করে যাচ্ছেন। তেমনই একটি ক্লাবের গল্প উঠে এসেছে আজকের প্রতিবেদনে।

চাকচিক্যময় নগরীতে পড়াশোনা করছেন একদল তরুণ-তরুণী। যাদের স্বপ্ন সুস্থ পৃথিবী গড়ার। শুধু আত্ম উন্নয়ন নয়! বরং দেশ ও বিদেশে স্বাস্থ্য সচেতনতায় অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছেন এই শিক্ষার্থীরা।

মানুষের স্বাস্থ্য উন্নয়নে হেলথ ক্যাম্পিং, স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম, ওয়েলনেস প্রোগ্রাম, ডায়াবেটিস পরীক্ষা, সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণী, সচেতনামূলক সভা-সেমিনার’সহ নানা কর্মসূচি করে থাকেন বছরজুড়ে। এছাড়া এই শিক্ষার্থীরা বিশ্ব স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করছেন।

গল্পের শুরু ২০১৮ সালে। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ বিভাগের হাত ধরে প্রতিষ্ঠা লাভ করে পাবলিক হেলথ অ্যান্ড সায়েন্সেস ক্লাব। ‘একটি সুস্থ সমাজ গড়ে তুলি’ প্রতিপাদ্যে গুটিকয়েক শিক্ষার্থী কাজ শুরু করে।

বর্তমানে যার সদস্য সংখ্যা ৬ শতাধিক। শিক্ষক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন গ্লোবাল হেলথ ইনস্টিটিউটের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ও সহযোগী অধ্যাপক ড. এজাজ বিন শরীফ। সম্প্রতি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ শতাধিক শিক্ষার্থীকে ভোক্তা অধিকার আইনের ওপর প্রশিক্ষণ দেয় ক্লাবটি।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালন করেন তারা। এ দিন ৫ শতাধিক মানুষের ডায়েবেটিস পরীক্ষা করা হয়।

ক্লাবটি স্বাস্থ্য বিজ্ঞান সম্পর্কিত হলেও এখানে সকল অনুষদের শিক্ষার্থীরাই কাজের সুযোগ পেয়ে থাকেন। বিবিএ বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়ালিদ হোসেন রাজ। বর্তমানে তিনি ক্লাবের সভাপতি।

রাজ বলেন, ‘আমাদের অন্যতম লক্ষ্য মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ানো। এর পাশাপাশি আমরা নানা ধরনের কার্যক্রম করে থাকি।’ যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ ফারহান লাবিব বলেন, ‘আমরা প্রায়শই জনসচেতনতামূলক নানা ধরনের পোস্টার তৈরি করি।’

‘গণমাধ্যমে প্রচারের জন্য আমাদের গ্রাফিক্স টিম অনেক কাজ করে। আমরা খেলাধুলার বিষয়েও গুরুত্ব দিয়ে থাকি। আয়োজন করি নানা ইভেন্টের।’

ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক উম্মে সালমা নাদিয়া বলেন, ‘এখানে সামাজিক কার্যক্রমের পাশাপাশি সুযোগ পাবেন নিজেকে ঝালাই করে নেওয়ার। ক্লাবে ডিজিটাল গ্রাফিক্স, ক্রিয়েটিভ আর্টস, থিয়েটার, খেলাধুলা, এডমিন’সহ বিভিন্ন বিষয়ে হাতে কলমে শেখার সুযোগ পায় সদস্যরা।’

করোনাকালে অসহায়দের পাশে দাড়িয়েছে ক্লাবটি। ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পিং, মাস্ক বিতরণ’সহ নানাভাবে সরব ছিল এই সেচ্ছাসেবীরা।

মেন্টাল হেলথ, ডায়াবেটিস, ব্রেস্ট ক্যানসার বিষয়ে সেমিনারের আয়োজন করে তারা, স্বাস্থ্য সচেতনতায় ছুটে যায় দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। অনলাইন কাউন্সিলিং সেবাও চালু রেখেছে ক্লাবটি।

নিউজটি শেয়ার করুন